সেলিম আহমেদ: আদিবাসী হওয়ার কারণে অন্য কোন কাজের সুযোগ না পাওয়ায় শুধুমাত্র জীবন-জীবিকার তাগিদে ‘ক্ু্যঁচি’ মাছ (কু্যঁচি সাপ বলে পরিচিত) ধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে ঈশ্বরদীর প্রায় ৫ শতাধিক আদিবাসী পরিবার। অত্যান্ত কষ্টদায়ক এ কাজ করে কোন মতো পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে আছেন তারা। আদিবাসীদের ধরা এই কু্যঁচি মাছকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলিতে গড়ে উঠেছে ‘কু্যঁচি মাছের আড়ৎ’। সেখান থেকেই সপ্তাহে দুই দিন ৪/৫’শ কেজি ‘কু্যঁচি মাছ’ বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সরেজমিন ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আদিবাসীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আদিবাসীরা...
সেলিম আহমেদ: গ্রাম্য বধু সাহারা খাতুন অভাবের সাথে লড়াই-সংগ্রামের মধ্যে সবজি চাষ ও ফলের বাগান করে আজ তিনি সফল একজন নারী চাষি। বাড়ির মধ্যে যার নিরিবিলি জীবন-যাপন করার কথা-তিনি আজ রীতিমত একজন সমাজ উন্নয়ন কর্মীর দায়িত্ব পালন করছেন। বসত বাড়ির আশপাশে সবজি চাষ এবং ফলের বাগান করে অভারের সংসারে আলোর মুখ দেখিয়েছেন। সবজি ও ফলের বাগান করে এলাকাবাসীকে সবজি ও ফল চাষে উদ্বুদ্ধ করেছেন সাহারা। সেবাদানকারী সমিতির ক্ষুদ্রদলের গ্রাম উন্নয়ন কমিটির দায়িত্বে থাকা সাহারা খাতুনের স্বামী সোহরাব আলী সরদার স্থানীয় বড়ইচরা হাটে খিলিপানের দোকানী ছিলেন। আট সন্তানের জনক-জননী সাহারা ও সোহরাব...
সেলিম আহমেদ : গ্রাম্য বধু লায়লাতুল ফেরদৌস (পাতা) চার দেয়ালের গন্ডির মধ্যে যার নিরিবিলি জীবন-যাপন করার কথা-তিনি আজ রীতিমত একজন সমাজ উন্নয়ন কর্মীর দায়িত্ব পালন করছেন। বসত বাড়ির আশপাশে নিবিড় সবজি চাষ এবং গরু মোটাতাজা করণ করে এলাকাবাসীকে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সেবাদানকারী সমিতির ক্ষুদ্রদলের গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভানেত্রী লায়লাতুল ফেরদৌস পাতার স্বামী আকুব্বর আলী একজন শ্রমিক। দাশুড়িয়ার একটি রাইস মিলের ড্রাইভার হিসেবে বর্তমানে কাজ করেন। দুই সন্তানের জনক-জননী আকুব্বর-পাতা। ছোট এই সংসার তাদের বেশ স্বাচ্ছন্দে চলে যায়।
লায়লাতুল ফেরদৌস জানান,...
আবদুল মান্নান পলাশ : সোনা বলে কথা। সে সোনা যেখানেই থাক। স্বর্ণশিল্পীদের ব্যবহৃত শৌচাগার কিংবা দুর্গন্ধময় নর্দমা। সোনার খোঁজে ওরা সেখানেই হাত চালায়। পঁচা কালো দুর্গন্ধময় আবর্জনার মধ্যে ওরা সোনা-রূপা খুঁজে ফেরে। স্বর্ণকাররা ওদের ‘সোনা টোকাই’ বলে থাকে। এক জীবনে ওরা টোকাই ছিলো। কাগজ টোকাতো। এখন সোনা-রূপা টুকিয়ে জীবন চলে। ওদের স্থায়ী ঠিকানা নেই, নেই পরিচয়। নেই আর সবার মতো জন্মবৃত্তান্ত। ওরা পথ শিশু ছিলো। বড় হয়ে, হয়ে গেছে সোনা টোকাই।
একজনের সাথে দেখা হলো চাটমোহর পৌর সদরের দোলবেদীতলা সোনাপোর্টিতে। নাম পাভেল। বয়স ১৫/১৬। পঁচা আবর্জনাময় নর্দমায়...
কাজী বাবলাা: বিনাচাষে রসুন আবাদ করে ভাগ্য বদলেছে নৌকার মাঝি ভূমিহীন রাজেন আলীর। ৫ বছর আগে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে রসুন আবাদ শুরু করে তিনি এখন ৪ লাখ টাকার জমির মালিক। সংসারে এনেছেন সুখ-শান্তি।
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলায় বিনাচাষে রসুনের আবাদ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কোন রকম হালচাষ ছাড়াই রসুন রোপন করে ফলনও বেশ ভাল পাওয়া যায় বলে কৃষকরা জানান। এখন চলছে রসুন রোপনের ভরা মৌসুম। নারী-পুরুষ মিলে জমিতে লাইন ধরে বসে রসুনের কোয়া রোপন করছেন।
চাটমোহরের ছাইকোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের রাজেন আলী এক সময় অন্যের নৌকায় মাঝির কাজ করতেন দিন মজুরিতে। রাজেন মাঝি বলেন, তখন...
আবদুল মান্নান পলাশ চাটমোহর: আর দশ জন নারীর মতোই স্বামী পরিত্যক্ত নূরুন্নাহার আবার বিয়ে করে সংসারী হতে পারতেন। সে বয়সও তার ছিলো তখন। কিন্তু তা করেননি নুরুন্নাহার।
বাবা ও ভাইদের সংসারের বোঝাও হতে চাননি এই সাহসী নারী। ৪ বছরের ছেলে নাঈমকে কোলে নিয়ে শুরু করেন এক অন্যরকম জীবন সংগ্রাম। ৯৬ থেকে ২০১৩। ১৭ বছরের নিরলস সংগ্রামে নূরুন্নাহার এখন সফল এক নারীর নাম।
নানা প্রতিকূলতাকে জয় করে এলাকায় তার মতো অসহায় দুঃস্থ নারীদের পথ দেখাচ্ছেন স্বাবলম্বী হতে। গড়ে তুলেছেন মফস্বলের অচলায়তনে ফ্যাশন হাউজ।...
।। এবাদত আলী।। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা সক্রিয় অংশগ্রহন করে নিজের জীবনকে বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন, তাদের মধ্যে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এম,পি, এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে পাবনা জেলার সংগঠক সিংহপুরুষ বলে খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল অন্যতম।
১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯৩ সালের...
আহমেদ উল হক রানা,:‘সন্তানদের প্রতি মায়ের যেমন অপরিসীম মায়া থাকে, তেমনি গাছের প্রতিও আমার মায়া। এই গাছগুলো আমার সন্তানের মতো। আমি মাঝেমধ্যে গাছগুলোকে আমার সন্তানের নাম ধরে ডাকি। এ জন্য আমার বাড়ির ছাদ, বারান্দা, আঙিনা, এমনকি খাবার-শোবার ঘরে আমি গাছ রেখেছি। ৩০ বছর ধরে গাছগুলো লালন-পালন করছি।’
পাবনা শহরের শালগাড়িয়া হাসপাতাল রোডে ‘নয়ন হাউজ’। এই বাড়ির গৃহবধূ আলেয়া পারভীন (৫৫)। বাড়িটির নিচতলা থেকে শুরু করে ছাদ পর্যন্ত শত শত গাছ। গাছগুলো দেখিয়ে দেখিয়ে এভাবেই বলছিলেন আলেয়া পারভীন। তিনি নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন তাঁর স্বপ্নের বাগান।...