সর্বশেষ
- আগামীকাল পাবনা ব্লাড নেটওর্য়াক এর উদ্দ্যোগে ফ্রি ব্লাড গ্রুপ টেস্ট
- উত্তরন সাহিত্য আসরের উদ্যোগে কবি ওমর আলীর ৭৭তম জন্মদিন পালিত
- হেডে মিডিয়ার উদ্যোগে জেলার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বক্তাদের অভিমত ঐতিহ্যবাহী পাবনার উন্নয়নে সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে
- দেশের প্রাচীনতম পাবনা জেলার ১৮৭ তম জন্মদিন ছিলো ১৬ অক্টোবর
- বিবর্তনের ধারায় দূর্গাপূজা : সার্বজনীন উৎসব
- ঈশ্বরদীতে কুমড়ার ব্যাপক আবাদ, বৃষ্টির কারণে মারা যাচ্ছে গাছ
- জাতীয় মহিলা সংস্থা পাবনার ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের চেক বিতরণ
- পাবনায় যাজক হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় ৫ জেএমবি সদস্য গ্রেফতার
- অস্তিত্ব সংকটে পাবনার ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা শিল্পীরা
- সম্ভাব্য নারী প্রতিনিধিদের অপরাজিতার রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ
ঈশ্বরদীতে অধিকমাত্রায় বৃষ্টির কারণে সবজি নষ্ট হয়ে গেছে
Aug 12, 2015, 2:36:47 PM
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি ॥ ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে মোঃ আক্কাস আলী জমি খাজনা নিয়ে ১০ বছর ধরে সেখানে সবজি আবাদ করতেন। ইচ্ছে ছিল এবারের সবজি বিক্রি করে বাড়িতে একটি পাকা ঘর দিবে এবং ছেলে-মেয়েদের ভাল স্কুল-কলেজে ভর্তি করাবে। অধিকমাত্রায় বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পানি জমে পেঁপে ১৫ বিঘা এবং করলা, ঝিঙ্গে, চাল কুমড়া ও লাউ মিলে ৫ বিঘা মোট ২০ বিঘা জমির সমস্ত গাছ মরে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আক্কাস আলী জানান, এক ছেলে এক মেয়ে কলেজে, এক মেয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং ছোট মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। ২০ বিঘা আবাদে আমার ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এবার প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে ২২ লক্ষ টাকার সবজি বিক্রি করা সম্ভব হতো। বাগানের পানি নেমে যাওয়ার পর পেঁপে গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায় এবং পেঁপে গুলো ঝড়ে পড়তে শুরু করে। তখন সামান্য কিছু টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পেরেছি। আশা ছিল পেঁেপ, করলা, ঝিঙ্গে, চাল কুমড়া ও লাউ বিক্রি করে বাড়িতে একটি পাকা ঘর দিব এবং ছেলে-মেয়েদের ভাল স্কুল-কলেজে ভর্তি করাবো। কিন্তু প্রবল বর্ষণে জমিতে বৃষ্টির পানি জমে আমার সে স্বপ্ন নষ্ট হয়ে গেছে। সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়াতে আমার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া, জমির খাজনা এবং সংসারের খরচ জোগানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। হয়তো ছেলে-ময়েদের আর পড়াশুনা করানো সম্ভব হবেনা। ছেলেটা এবারের এইচ এসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক ও বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সমিতির কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারন সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান কূল ময়েজ বলেন, ১৭ বছরের মধ্যে এবারের মতো বৃষ্টিপাত আর কখনো হয়নি। ১৯৮৮ সালে এরকম বৃষ্টি একবার হয়েছিল। অধিকমাত্রায় বৃষ্টির কারণে কৃষকের সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গিয়ে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষক আক্কাসের ২০ বিঘা জমির সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়াতে তিনি পথে বসে গেছেন। এবার কৃষক আক্কাসের মতো ঈশ্বরদীর বেশির ভাগ কৃষকের সবজি ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে কৃষক আক্কাসকে সহযোগিতা করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সবজি ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে গাছ মরে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। মাঠের বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন এবং বাড়ি-ঘর করার কারণে পানি নিষ্কাষনের জায়গা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। প্রান্তিক কৃষক আক্কাস আলী জমি খাজনা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সেখানে সবজি আবাদ করে আসছেন। এযাবৎকালে ওই মাঠে কখনো বৃষ্টির পানি জনে নাই। এবছর অতিরিক্তমাত্রায় বৃষ্টি হওয়ায় মাঠের পানি বের হতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে কৃষক আক্কাসের ২০ বিঘা জমির পেঁপে, করলা, ঝিঙ্গে, চাল কুমড়া ও লাউ গাছ মরে গেছে। এতে তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।