Aug 16, 2015, 5:34:22 AM
বার্তা সংস্থা পিপ (পাবনা) : জাতীয় শোক দিবস ১৫ই আগষ্টে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে খাসী কেটে ভুরি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, দিবসটি উদযাপনের জন্য সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজনের সাথে সাথে শিক্ষক-কর্মচারীদের ভুরি ভোজেরও ব্যবস্থা করা হয়। সকাল আটটার দিকে কলেজ চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, কোন ছাত্র-ছাত্রী নেই কলেজের মধ্যে মহাসমারোহে রান্না চলছে এবং কয়েকজন পিয়ন ঘোরাফেরা করছে। এসময় জানা যায়, সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শিক্ষকদের কেউ কেউ বাসায় চলে গেছেন নাস্তা রেডি হলে আসবেন। আবার কোন কোন শিক্ষক দোতালায় অধ্যক্ষের কক্ষে রয়েছেন। রান্নার বিষয়ে জানা যায়, সকালের নাস্তার জন্য খিচুরি ও ডিম হচ্ছে, দুপুরে খাসী জবাই করে রান্না ও খাওয়া দাওয়া হবে। এব্যাপারে অধ্যক্ষ ড. সিরাজুল ইসলাম খাওয়া দাওয়ার আয়োজনের কথা স্বীকার করে জানান, বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। সারাদিনের অনুষ্ঠানতো তাই একটু খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলোচনা সভা ও প্রতিযোগিতায় ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল একে বারেই নগণ্য। জাতীয় শোক দিবসে খাসী কেটে ভুরি ভোজের ঘটনায় উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি যুবায়ের বিশ্বাস বলেন, আমি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
আর ঈশ্বরদী মহিলা কলেজে শিক্ষক ও কর্মচারীদের খাওয়ানো হলে বিরিয়ানী। জানা যায়, সকালে শিক্ষকরা না খেয়ে এসেছেন। তাই নাস্তায় বিরিয়ানীর আয়োজন। আসলে প্রশ্ন এই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতির জনকের শোক দিবস পালনের নামে প্রকারান্তরে কি করলো এটা সবার প্রশ্ন?