১৭ আষাঢ় ১৪৩১
 

সর্বশেষ

পাকশী উঠেছে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম

Sep 27, 2013, 9:31:05 AM

পাকশী উঠেছে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম

রাতুল ইসলাম সুমন  : রেলের শহর আর পদ্মার রুপসী কন্যা হিসেবে পাবনার পাকশী ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কাছে হয়ে উঠেছে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। এখানকার নৈসর্গিক প্রাকৃতিক দৃশ্য কাছে টানে যেকোনো বয়সের মানুষকে। প্রায় প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো মানুষ তার স্বজনদের নিয়ে পাকশীতে ছুটে যাচ্ছেন একটু বিনোদনের আশায়। ছুটির দিনগুলোতে পর্যটক প্লাবনে ভেসে যায় পাকশী জোড়া সেতুর মিলনস্থল। আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। পাকশীতে রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। সরকারের যথাযথ ব্যবস্থার মাধ্যমে পাকশী হয়ে উঠতে পারে উত্তরাঞ্চলের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। ৪ হাজার ৫৪৭ একর আয়তনের পাকশী সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪২ ফুট উঁচু। এখানে রয়েছে দেখা ও জানার মতো অনেক কিছু। পদ্মা অববাহিকার এই স্থানটি ১৮৮০ খৃস্টাব্দে বৃটিশেরা পত্তন করে। পদ্মা নদীর উপরে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু এ দু’টি সেতুর মিলনস্থল নজর কাড়ে সবার। বৃটিশ বাংলোগুলোর বাঁকে বাঁকে ইতিহাস ফিস ফিস করে। বিকেলের সূর্য যখন পদ্মা পাড়ে ডুব দেয় তখন আপনি হারিয়ে যাবেন ভাললাগার সমুদ্রে। এখানে বসে প্রিয়জনের সাথে পূর্নিমার জোসনা উপভোগ আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে। এখানে ফুরফরা খানকা শরীফ চত্বরে অনুভব করা ও দেখার মতন স্থাপত্য শিল্প রয়েছে। নিথর পদ্মা অভ্যর্থনা জানায় পর্যটকদের। এসময় ছাতিম শরতের ঘ্রাণ প্রাক সন্ধ্যায় ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এখানে বন নেই, প্রাচিন বৃক্ষ আছে। হিংস্র প্রাণী নেই, পাখি আছে। উপত্যকা নেই, বাঁধের ঢাল আছে। সৈকত নেই, বালিয়াড়ি আছে। পাহাড়ী পথ নেই, টানেল আছে। জন্তু নেই, পতঙ্গ আছে। মেঘ পাহাড়ের খেলা নেই। মাঠে হাওয়া আছে। এটা ভ্রমণের সামান্য স্পট। তার পরেও ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে পাকশী অতুলনীয়। পদ্মায় নৌবিহারের সুযোগ নেই, জোয়ার ভাটা নেই, চোরাবালি আছে। আরও আছে নৈসর্গিক নির্জনতা। মনোরম ভ্রমণ বিলাস কেন্দ্র হিসেবে পাকশীর যে সম্ভাবনা রয়েছে তা সম্পূর্ণ সার্থক হতে পারেনি ছুটি কারনে। প্রথমত থাকার ও দ্বিতীয়ত খাওয়ার অসুবিধা। এছাড়া টয়লেট সমস্যা। পদ্মায় গোসলের ব্যবস্থা থাকলে পর্যটকদের মন আরও টানতো। তারপরেও আশ-পাশের জেলা উপজেলা থেকে ভ্রমন পিপাসু, ও উদ্ভিদপ্রেমীদের মনকে টানে মাধ্যকর্ষনের মতো। শিক্ষার্থীরাও শিক্ষা সফর করেন এখানে। পূর্ণিমা রাতে আদিগন্ত আঁধার ভেদ করে গোল চাঁদ দুধেল জোছনা ছড়ায়। রূপালী আলোঢুকে পড়ে ঝোপ ঝাড়ের ডগায় ডগায়। নদী-মাঠ-প্রান্তর সব ভাসিয়ে দেয় ধবধবে জোছনা। অবিরাম বয়ে চলে শীতালো হাওয়া। এই শরতেই পাকশীতে শিশির সৃষ্টি হয়। লতা-পাতায় দেখা দেয় জলবিন্দু। পরিবার নিয়ে একদিনের স্বাস্থ্যকর সফরে বিভোর হওয়ার নাম পাকশী। কৃত্রিম ও অকৃত্রিম দৃশ্যে অভিনব। নদী নদী করে নেচে ওঠা মন নদী তীরে পায়চারি করে পুলকিত হয়। মধ্যরাত অব্দি ঘোরার পরিবেশ নেই বলে পর্যটকেরা সন্ধ্যা রাতেই ঘরে ফেরেন।  

 
 
 
পাবনা নিউজ২৪.কম
থানাপাড়া (হেলেন কটেজ), পাবনা-৬৬০০
ই-মেইলঃ newsroom@pabnanews24.com