১৫ আষাঢ় ১৪৩১
 

সর্বশেষ

রামু-উখিয়ার দানব পাবনায়

Nov 23, 2013, 10:53:03 AM

রামু-উখিয়ার দানব পাবনায়

জহির চৌধুরী: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রামে সহিংসতার শিকার হিন্দু সম্প্রদায়ের অবস্থা সরেজমিনে দেখে এসেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে হামলাকারীদের গ্রেফতার না করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান পুলিশের উদ্দেশে বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে ঘুরে বেড়ায় আপনারা আসামি খুঁজে পান না।’ এদিকে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ পাবনার ঘটনার জন্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে দায়ী করে বলেছেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঘটনার  সময় মাত্র ১০ মাইল দূরে থাকলেও ঘটনাস্থলে যাননি, পুলিশও পাঠাননি। ৭ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিক লিখেছে, ‘পাবনার বনগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিন মন্ত্রীসহ পুলিশ ও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের পথ আগলে ধরেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অনেক সদস্য। তারা মন্ত্রীদের কাছে অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আমরা চিনি। কিন্তু তাদের কেউ এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা কেউই এই ঘটনার সাথে জড়িত নন। তাদের অনেকেই ঘটনার দিন আমাদের সম্পদ ও প্রাণ বাঁচিয়েছেন। যাদের বাড়িতে আমরা আশ্রয় নিয়ে বেঁচে গেছি তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’ এ সময় পরিদর্শক দলের সদস্যরা বিব্রতকর পরিস্থিতির  সম্মুখীন হন। কথাগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশের পর নাগরিক সমাজে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। 

পাবনার ঘটনার সাথে কক্সবাজারের রামু এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের উখিয়ার ঘটনার মিল লক্ষ করা যাচ্ছে। কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ অধ্যুসিত এলাকায় তাণ্ডবের সূত্রপাত ঘটেছে বৌদ্ধ যুবক উত্তম বড়–য়ার ইন্টারনেটে হযরত  মুহম্ম্দ (সা.) ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর কথা ছড়ানোর প্রচারণার মাধ্যমে। গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের রামু উপজেলা সভাপতি আনছারুল হক, জেলা ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম, জেলা যুবলীগ নেতা হাফেজ মোহাম্মদের নেতৃত্বে বৌদ্ধ বিরোধী মিছিল, মন্ডলপাড়া ছাত্রলীগ নেতা জাহেদুল ইসলাম, রামু কলেজ ছাত্রলীগ নেতা কাইছার হামিদ ও রিদওয়ান আহমেদের নেতৃত্বে বৌদ্ধপল্লীতে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, স্থানীয় যুবলীগ নেতা সালামত উল্লাহ ও ছাত্রলীগ নেতা মোর্শেদের নেতৃত্বে সাদা চিং বৌদ্ধবিহারে প্রতিমা ভাঙচুর করে উল্লাসের চিত্র চোখের সামনেই রয়েছে। রামু ও উখিয়ার নারকীয় তাণ্ডবের নেপথ্য শক্তির পরিচয় দেশ-বিদেশে দিবালোকের মতো পরিষ্কার। রামু ও উখিয়ায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর, উপাসনালয়ে বর্বরোচিত তাণ্ডবের পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তার  অভিজ্ঞতার অভিব্যক্তি ছিল সোজা-সাপ্টা। রামু-উখিয়া ঘুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান অকপটে বলেছেন, ‘রামুতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত এবং রামুতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার ঘটনা সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থা সবই জানত’। সকলেই জানেন  যে, রামু ও উখিয়ার ঘটনার জন্য যারা দায়ী তারা গ্রেফতার হয়নি, ঘটনার পর দায়ীরা মন্ত্রীদের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত্বনা দিতে দেখা গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা প্রশাসনের সাথে দায়ীদের ঘুরে বেড়ানো দেখে ুব্ধ হওয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমেই বেরিয়েছে। বৌদ্ধপল্লীতে নারকীয় তাণ্ডবের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী জোট সরকারের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী ঘটনায় (রামু ও উখিয়ার) রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে’। রামু ও উখিয়ার ঘটনায় দায় বিরোধী দল বিএনপির ওপর চাপানোর এবং ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিরোধী দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের খবরও সকলেই জানেন। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রামের ঘটনাকে বলা যায় বৌদ্ধপল্লীতে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনার ‘পাবনা সংস্করণ’। রামু-উখিয়ার দানবদের জাতিরাই পাবনার সাহাপাড়ায় তাণ্ডবের জন্য দায়ী, এটা স্পষ্ট। গণমাধ্যমের সুবাদে জানা গেছে, পাবনা বনগ্রামস্থ হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর ও মন্দিরে হামলা-অগ্নিসংযোগের নেপথ্যে ছিল ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, গত ২ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক জাকির হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা কাউছার হাবিব সুইট, মতির ছেলে খোকনসহ ১০-১২ জন যুবক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার একটি প্রিন্ট কপি বের করে বনগ্রাম বাজারে ছড়িয়ে দেয়। ওই প্রিন্ট কপিতে হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি ছিল। এ ঘটনার জন্য স্থানীয় মুদি দোকান ব্যবসায়ী বাবুল সাহার পুত্রকে দায়ী করে তাকে খুঁজতে যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননার খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ একত্র হয়ে হিন্দু সম্প্রদায় অধ্যুষিত সাহাপাড়ায় হামলা, ভাঙচুর, লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে। বাবুল সাহা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিন মাস আগে তার মেয়ের বিয়ের সময় স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী দুই লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল। টাকা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময়ে মোবাইলে হুমকি দিচ্ছিল। বাবুল সাহা সাংবাদিকদের আরো জানিয়েছেন, তার ১০ম শ্রেণী পড়–য়া ছেলের কম্পিউটার বাড়িতে থাকলেও কোনো ইন্টারনেট কানেকশন বা কোনো মোবাইল কোম্পানির মডেম ছিল না। তার ছেলের পক্ষে ফেসবুক ব্যবহার কখনোই সম্ভব নয়। চাঁদা না দেয়ার কারণেই তার পরিবার ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে জানিয়ে বাবুল সাহা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সাহাপাড়ার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত-শিবির জড়িত নয়। বাস্তবতা হচ্ছে, পাবনার বনগ্রামের ঘটনার প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার না করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের খবর মিলছে।

২০০১ সালে বামতাত্ত্বিক বদরুদ্দীন উমর এক নিবন্ধে লেখেছেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই এদেশে হিন্দুদের ওপর এক নিঃশব্দ নির্যাতন খুব ব্যাপকভাবে চলে আসছে। এ নির্যাতনের রূপ হলো হিন্দুদের সম্পত্তি দখল এবং তার মাধ্যমে তাদেরকে ভিটেমাটি ছাড়া করা। ১৯৭২ সাল থেকে এ কাজ যেভাবে হয়ে আসছে সেটা পাকিস্তান আমলের কোনো পর্যায়েই হয়নি। এ কাজটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকদের দ্বারা শুরু হয়েছে। আজ পর্যন্ত তারাই সব থেকে বড়ো আকারে হিন্দু সম্পত্তি দখল করে এদেশ থেকে হিন্দু বিতাড়ন করেছে’ (২৫/১১/২০০১, ইত্তেফাক)। গত ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টির সভাপতির বরাত দিয়ে প্রকাশিত দৈনিক ইনকিলাবের ‘মহাজোট সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে’ শীর্ষক খবরে বলা হয়েছে, এই সরকারের আমলে চলতি বছরই কেবল ৪৭৮টি মঠ-মন্দির, ১২৪টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সংগঠন ‘নিখিল বঙ্গ নাগরিক সংঘ’ বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন এবং জন্মভূমি থেকে তাদের বিতাড়নের জন্য আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার এবং আওয়ামী লীগ দলকে দায়ী করে ২০১০ সালে কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দেয়। বছর কয়েক আগে মঠ-মন্দির ও দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষা কমিটির আহবায়ক সত্যরঞ্জন বাড়ৈ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালাচ্ছে আওয়ামী সরকারের এমপি ও সমর্থকরা। তারা হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থ গীতা পুড়িয়েছে। উপাসনালয় ভেঙে ফেলেছে, যা হার মানিয়েছে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও।’ হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছ থেকেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হিন্দু নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ উঠছে ব্যাপকভাবে।

আওয়ামী লীগের ১৯৯৬ সালের শাসনামলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এলাকার বাদল চক্রবর্তী, সানন্দ বিশারদ, নৃপেন ভট্টাচার্যসহ ৯টি পরিবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের রোষানলে পড়ে বাস্তুভিটাচ্যুত হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া উপজেলার হিন্দুরা গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক, স্থানীয় পুলিশ সুপারসহ খুলনাস্থ র‌্যাব-৬-এর অধিনায়ককে তাদের প্রায় ৪শ বিঘা জমি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বাহিনী গ্রাস করেছে মর্মে অভিযোগ অবহিত করার তথ্যও গণমাধ্যমে বেরিয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হিন্দু সম্পত্তি দখল, হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের ঘটনাগুলো বড় বই আকারে প্রকাশের মতো। কোনোকালে যদি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হিন্দু সম্পত্তি দখল ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর জুলুম-নির্যাতনের ঘটনাগুলো একত্রিত করে প্রকাশ করা হয় তাহলে বামতাত্ত্বিক বদরুদ্দীন উমরের বক্তব্য যে সঠিক তা প্রমাণ হতে বাধ্য।

বাংলাদেশ সুপ্রাচীনকাল থেকেই ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এ ভূখণ্ডে বসবাসকারী সকল ধর্মাবলম্বীই দেশমাতার সন্তান। দেশমাতার সন্তানরা নির্বিঘেœ নিরাপদে দেশে বসবাস এবং ধর্ম-বর্ণ-পালনের অধিকার রাখে। এই অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারে না। সকল ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দুর্ভাগ্যজনক যে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠছে। প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ অভিযোগ করেছেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১০ মাইল দূরে থাকলেও তিনি যাননি, পুলিশ বাহিনীকেও পাঠাননি। গত মার্চ মাসে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ আওয়ামী জোটের সঙ্গে বৈঠককালে জানিয়েছেন, ‘কক্সবাজারে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকালে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি সেখানে নির্বিকার ছিলেন’ (২৯/০৩/১৩ ইত্তেফাক)। এসব অভিযোগ গুরুতর। এদেশের সকল ধর্মাবলম্বীর জানমালের নিরাপত্তা এবং ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং দুর্বৃত্তদের দমনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ধর্মীয় পার্থক্য ভুলে। এক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়কে এটু বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। কোনো দল বা গোষ্ঠীর কাছে অধিকার ও নিরাপত্তার জন্য মুখিয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। এটা যে ভালো ফল বয়ে আনছে না তা নিশ্চয়ই হিন্দু সম্প্রদায়ের উপলব্ধিতে এসেছে। এদেশের হিন্দু ভাইরা যদি দলমত নির্বিশেষে মুসলিম ভাইদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন তাহলে তাদের জানমাল ও সহায়-সম্পদের নিরাপত্তা বিঘিœতকারী গোষ্ঠীর বেপরোয়া দৌরাত্ম্য দমানো কঠিন কাজ নয়। হিন্দু সম্প্রদায় তাদের নিরাপত্তার আশ্রয় যেখানে মনে করেন সেটা যে ডাইনীর আবাসস্থল তা যত দ্রুত হিন্দু সম্প্রদায় উপলব্ধি করবে ততই মঙ্গলজনক হবে।

 

 
 
 
পাবনা নিউজ২৪.কম
থানাপাড়া (হেলেন কটেজ), পাবনা-৬৬০০
ই-মেইলঃ newsroom@pabnanews24.com