১৫ আষাঢ় ১৪৩১
 

সর্বশেষ

অবরোধে হরতালে বিপর্য্যস্ত অর্থনীতি

Dec 10, 2013, 9:15:08 AM

অবরোধে হরতালে বিপর্য্যস্ত অর্থনীতি

হরতাল আর অবরোধ বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রায় জীবনসঙ্গীতে পরিনত হয়েছে। ক্লান্তিহীনভাবে চোখকান বন্ধ করেই যেন এগুলি দিব্যি ডেকে দেওয়া হচ্ছে। পথেঘাটে গাড়ীতে যানবাহনে আগুন-গাড়ীই নয় শুধু মানুষও পুড়ে ছাই, মানুষের সংসার পুড়ে ছাই, জীবনও পুড়ে ছাই। ব্যবসা-বাণিজ্যে ভয়াবহ স্থবিরতা , কল-কারখানা প্রায়ই বন্ধ, বাজারে পণ্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি-জনজীবন বিপর্য্যস্ত। ছয় দিনের টানা অবরোধে ৩০ টি অগ্নিদগ্ধ পরিবার যন্ত্রনায় কাতর-শোকাহত বাংলাদেশ। অসংখ্য শ্রমিক বেকার-দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদেরকেও সুদূর কর্মস্থল এলাকা থেকে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার জন্যেও ঢাকায় নেওয়া যাচ্ছে না। এমবুলেন্সও যেতে চায় না কারণ কোন যানবাহনেরই নিরাপত্তা নেই-মানুষের জীবনের নিরাপত্তা উধাও। পরিস্থিতি সারাদেশে কম বেশী প্রায় একই রূপ।

এহেন পরিস্থিতিতে গত ২৮ নভেম্বর তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে “বিপর্য্যস্ত অর্থনীতি” শিরোনামে প্রকাশিত খবরের কিয়দংশ আমার প্রিয় পাঠক-পাঠিকার সামনে তুলে ধরছি এই অবরোধে কী ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি  হয়েছে আমাদের অর্থনীতিতে তা বুঝানোর লক্ষ্যেঃ-“১৮ দলীয় জোটের ডাকা সহিংস অবরোধে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ অতীতের যে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচীকে ছাড়িয়ে গেছে। এ সময় সারা দেশের আমদানি রফতানি, সরবরাহ ব্যবস্থা, খুচরা ও পাইকারী পণ্যের কেনাবেচা, ব্যাংকিং লেনদেন, বন্দরে পণ্য ওঠানামা সহ সব কিছুই বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে অবরোধজনিত কারণে দেশের অর্থনীতিতে ক্ষতি চার হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে সি পি ডি’র  পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান পত্রিকাটিকে বলেন, প্রতিকূলতা সত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলছিল। সংঘাতময় রাজনীতির কবলে পড়ে দেশের সেই অর্থনীতি এখন বেসামাল, এ অবস্থায় দেশী বিনিয়োগ থমকে গেছে, বিদেশী বিনিয়োগ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তৈরী পোষাক ক্রেতারা বাংলাদেশে এসেও বিক্ষোভ সহিংসতার কবলে পড়ে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে। অস্থির রাজনীতির এ ধরণের একটি চিত্রই দেশের সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে।

তিনি বলেন , রাজনৈতিক এ ধারা জাতীয় আকাংখার প্রতিফলন ঘটার পথে প্রতিবন্ধকতাই শুধু সৃষ্টি করবে। নভেম্বর মাসে টানা হরতালের পর নতুন করে দফায় দফায় সহিংস অবরোধে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড থমকে গেছে। কলকারখানায় সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে উৎপাদনে টান পড়েছে। জোড়াতালি দিয়ে কিছু উৎপাদন করলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে শিপমেন্ট করা যাচ্ছে না। বিকল্প হিসেবে আকাশপথের কথা হয়তো বা ভাবা যেত কিন্তু তাতে তো পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায় বহুগুণ।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সি সি সি আই) ও খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সামতির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রামের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড মিলে দিনে ক্ষতি হচ্ছে ছয় থেকে সাত কোটি টাকা। সম্প্রতি ভিন্ন ভিন্ন  সংবাদ সম্মেলনে বহুজাতিক দাতা সংস্থা বিশ্¦ব্যাংক ও এডিবি বলেছে, রাজনীতিতে যে অস্থিরতা চলছে তার শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে এ বছর কাংখিত প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে না।

দেশের ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোর সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুযায়ী প্রতিদিন হরতাল অবরোধে ক্ষতির পরিমান হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তবে অবরোধ কালীন সময়ের চিত্র হরতাল অপেক্ষা আরও ভয়াবহ। ফলে অবরোধে প্রতিদিনকার ক্ষতির পরিমান আরও অনেক বেশী হবে। বিশ্বব্যাংকের হিসেবমতে, অবরোধের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশে প্রতি বছর মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রায় ১ শতাংশ ক্ষতি হয়। হরতাল অবরোধজনিত ক্ষতি নিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি একটা হিসাব প্রাক্কলন করেছে। সিপিডির মতে, হরতাল-অবরোধে ধক্ষংসাত্মক কর্মকান্ডে মূলধনজনিত বিনিয়োগ (ক্যাপিটালষ্টক) এক শতাংশ কমে গেলে জিডিপি কমে যাবে .০৯ শতাংশ, রফতানি ২.৫ শতাংশ কর্মসংস্থান সংকুচিত হবে ০.৯ শতাংশ। সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা  পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অবরোধে বড় ক্ষতি হচ্ছে  ব্যবসা-বাণিজ্যে আস্থার সংকট। এটা দীর্ঘমেয়াদী হলে অর্থনৈতিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।

বিজিএমই সূত্রে জানা গেছে, সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ইতোমধ্যে অন্তত: ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ রফতানি আদেশ বাংলাদেশের হাতছাড়া হয়ে গেছে। তৈরী পোষাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ দাবী করেছে একদিনের অবরোধে পোষাক খাতে ক্ষতির পরিমান ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা। সংগঠনের সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ্ আজিম বলেন, পরিবহন বন্ধ থাকায় পণ্য সামগ্রী বন্দরে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। যথাসময়ে শিপমেস্ট না হওয়ায় রফতানি করতে গেলে ব্যয় বেড়ে যায় দশগুণ।

রাজস্ব ক্ষতিঃ সম্প্রতি রাজস্ব বোর্ডের (এন বি আর) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একদিনের অবরোধে ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় ব্যাহত হয়। অবরোধে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ থাকলে কী পরিমান রাজস্ব আয়েরর ক্ষেত্রে ক্ষতি হয় তা জানতে চাইলে ঐ প্রতিবেদন তৈরী করা হয়। অবরোধের কারণে চালানগুলো সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে সবচেয়ে  বড়  চট্টগ্রাম কাষ্টম হাউসে প্রতিদিন প্রায় চার হাজার কোটি টাকার পণ্যের চালান খালাস হয়। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এ বছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় নি। রাজস্ব বোর্ডের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা মনে করেন , এ ধরনের সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচী চলতে থাকলে রাজস্ব আদায় আগামীতে আরও বেশী ঝুঁকিতে পড়বে। এন বি আর সূত্র জানায়, হরতাল অবরোধে সবচেয়ে বড়  স্থলবন্দর  বেনাপোলে আটকে থাকে ৪০০ টি, ঢাকা কাষ্টম হাউসে ৬০০ থেকে ৭০০ ও কমলাপুর আইসিডিতে ৫০-৬০ টি চালান । হরতালজনিত কারণে মালপত্র খালাস না হওয়ায় সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দেয়। পুরান ঢাকর চকবাজার , মৌলভীবাজার হচ্ছে দেশের বৃহত্তম পাইকারী বাজার। ঐ বাজারের ৪০ টি ব্যবসায়ী সংগঠনের হিসাবে প্রতি দিন সেখানে ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়। কিšুÍ অবরোধের কারণে লেনদেন কয়েকদিন বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যবসায়িক ক্ষতি দাঁড়িছে প্রায় ১০০০ হাজার কোটি টাকা। ঐ এলাকার ব্যবসায়ী কামাল বলেন অবরোধের কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসতে পারেন না পণ্যও ঢাকার বাইরে যেতে পারে না  । ফলে  অবরোধে ঢাকা শহরের প্রায় ৪০ টি মার্কেট বন্ধ থাকে ।

খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের বৃহত্তর এই পাইকারী বাজারটিতে প্রতিদিন চাল, ডাল , লবণ, মসলাসহ প্রায় সবধরণের মুদিপণ্য বিক্রি হয়। এখানে গড়ে প্রায় ২৫০ থেকে তিনশ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়ে থাকে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে । কিšু‘ প্রথম দফার অবরোধের প্রথম দুই দিনে বাজারটি প্রায় বন্ধই ছিল এখনও তাই। এখানে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার টন চাল, ৪০০ থেকে ৫০০ টন পেঁয়াজ ,  ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ডাল, ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার মসলা বিক্রী হয়। কিন্তু অবরোধের কারণে তার শতকরা ১০ ভাগও বিক্রী হচ্ছে না।

আমদানী রফতানির প্রায় ৮০ শতাংশই হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে । প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে গড়ে ২০০০ কন্টেইনার পণ্য আমদানী রফতানি হয়। কিšু‘ প্রথম দফার প্রথম দুই দিনের অবরোধে প্রতিদিন মাত্র ৭০০ থেকে ১৪০০ কন্টেইনার ওঠানামা করেছে ঐ বন্দর দিয়ে। এতে ইতিমধ্যেই কন্টেইনার জটের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ীর নির্ধারিত সিডিউল বাতিল হয়ে গেছে। জাহাজ থেকে কোন পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না অবরোধের কারণে-সময়মতো পণ্য খালাস করা ও পণ্য জাহাজীকরণে বিঘœ ঘটায় ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা বন্দর ক্ষতিপূরণ গুনতে হচ্ছে ।

অপরপক্ষে বাংলাদেশ দোকন মালিক সমিতি বলেছে, তাদের হিসেবে ঢাকা শহরে দোকান প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হচ্ছে  তিন লাখ এবং সারাদেশে ২৫ লাখ । অবরোধের দিনগুলিতে এই দোকানগুলির প্রায় সবই বন্ধ থাকে। তাতে প্রতিদিনের ক্ষতি দাঁড়ায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা । প্রথম দফা অবরোধের প্রথম ৪৮ ঘন্টায় আট থেকে নয়শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

দিনমজুমদের প্রসঙ্গঃ বাসের একজন কন্ডাকটার জানান, একদিন ডিউটি করলে তিনি ৫০০ টাকা পান কিন্তু যতদি অবরোধ হরতাল থাকে ততোদিনই বাস বন্ধ রাখতে হয় বলে ঐ সময়ে প্রতিদিনই ৫০০ টাকা এবং যা কিছু বাড়তি রোজগার তার সবই বন্ধ থাকে। এছাড়া খেটে খাওয়া মানুষগুলিই সাধারণতঃ অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত আহত হচ্ছেন ফলে তাঁদের পরিবার পরিজনরা অনাহারে-অর্ধাহারে । সারা দেশে রিকসা চালকদের শতকরা কমপক্ষে ৬০ ভাগই বসে থাকতে বাধ্য হন যাত্রী অভাবে, কাঁচা তরকারী সবজি বাজারে ফলের বাজারেও পড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া। দাম বেড়ে যায় বিস্তর পরিবহন বিভ্রাটে। কিন্তু তৃণমূলে  উৎপাাদক কৃষকরা একই কারণে হন ক্ষতিগ্রস্ত। কারণ তাঁদের পণ্যের ক্রেতা না থাকায় পরিবহন বিভ্রাটে তা কোথাও পাঠাতে না পারায় উৎপাদন খরচেরও অনেক কমদামে কৃষিপণ্য বিক্রী করে দিতে বাধ্য হতে হয়।

এভাবে দেখা যায় শতকরা ৭০ ভাগেরও বেশী  মানুষ হরতাল অবরোধে মারাত্মক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পতিত হন।

ব্যবসায় বাণিজ্যের ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হওয়ায় ব্যংকিং সেকটরেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ঋণখেলাপির সংখ্যা বেড়ে যায় মাত্রাতিরিক্ত ভাবে । সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে যায়-অগ্রগতির সকল আশাও দুমড়ে মুচড়ে একাকার হয়ে যায়। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে হরতাল অবরোধের মাধ্যমে যেভাবে পঙ্গু করে ফেলা হয়েছে তাতে এই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির ধকল কাটিয়ে অর্থনীতির অবরুদ্ধ চাকাকে কতদিনে সচল করা যাবে তা ভাবলে আতংকে শিউরে উঠতেই হয়।

সর্বাপেক্ষা উদ্বেগের বিষয় এ জাতীয় হরতাল অবরোধে বেঘোরে যে ভাবে যান বাহন পোড়ানো হচ্ছে , পুড়িয়ে নিরীহ নিরপরাধ অসংখ্য মানুষকে ছাই করে দেওয়া হচ্ছে তাতে আমাদের হাজার বছরের লালিত, বিকশিত সভ্যতা যেন গণ-বিরোধী অপরাজনীতির দ্বারা মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত। এই আক্রমনের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে হবে-বাঁচাতে হবে সভ্যতাকে।

যে দাবীতে এই আন্দোলন সেই দাবী পূরণের ষোল আনা এখতিয়ার হলো সরকারের-জনগণের আদৌ নয়। সেই জনগণকে পুড়িয়ে মারা, অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করা, তার যাতায়াত চলাচলের সকল পথ নির্মমভাবে বন্ধ করে দেওয়ার নাম আর যাই হোক রাজনীতি হতে পারে না-গণতান্ত্রিক আন্দোলনও হতে পারে না। অপরপক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম সহিংসতা বন্ধের নামে সরকার যা করে চলেছে তাও শিষ্টাচার-গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি রক্ষা বা সহিংসতা দমন আদৌ নয়। একের পর এক বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, তাদের বিরুদ্ধে হরহামেশা মামলা মোকর্দমা দায়ের করা, তাদের অফিসে রাতের অন্ধকারে ঢুকে শুধু গ্রেফতার নয় Ñ কম্পিউটার সহ নানা মূল্যবান সামগ্রী পুলিশ দিয়ে ভেঙ্গে তছনছ করা কোন গণতান্ত্রিক আচরণ না বরং এগুলি দ্বারা বিরোধী দলের উগ্রবাদী অংশকে ঢ়ৎড়াড়পধঃরড়হ  দেওয়া। বরং সরকারের কাছে সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম পদ্ধতি হতে পারে বিরোধী দলের দুটি মূল দাবী মেনে নেওয়ার মাধ্যমে। এক. সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন ও দুই. বর্তমান একচোখা নির্বাচন কমিশন বদল করে একটি প্রকৃতপক্ষে নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন। এগুলি কোন কিছু না মানা ও গোঁয়ার্তুমির ফলেই যে জাতিকে সমূহ সংকটে পড়তে হয়েছে তা অবিলম্বে স্বীকার করে নেওয়া এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী  এই দাবী দুটি মেনেনিলে মুহুর্তকালের মধ্যেই বিরাজমান সংকট দূরীভুত হয়ে শাস্তির বাতাবরণ তৈরী হতে পারে এবং সবার অংশ গ্রহণে একটি অর্থবহ জাতীয় নির্বচনও তখনই অনুষ্ঠিত হতে পারে। এর দ্বারা আমাদের অর্থনীতিতে সৃষ্ট সংকটও দুরীভূত হতে পারে।  - 

 রণেশ মৈত্র 

 
 
 
পাবনা নিউজ২৪.কম
থানাপাড়া (হেলেন কটেজ), পাবনা-৬৬০০
ই-মেইলঃ newsroom@pabnanews24.com