সর্বশেষ
- আগামীকাল পাবনা ব্লাড নেটওর্য়াক এর উদ্দ্যোগে ফ্রি ব্লাড গ্রুপ টেস্ট
- উত্তরন সাহিত্য আসরের উদ্যোগে কবি ওমর আলীর ৭৭তম জন্মদিন পালিত
- হেডে মিডিয়ার উদ্যোগে জেলার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বক্তাদের অভিমত ঐতিহ্যবাহী পাবনার উন্নয়নে সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে
- দেশের প্রাচীনতম পাবনা জেলার ১৮৭ তম জন্মদিন ছিলো ১৬ অক্টোবর
- বিবর্তনের ধারায় দূর্গাপূজা : সার্বজনীন উৎসব
- ঈশ্বরদীতে কুমড়ার ব্যাপক আবাদ, বৃষ্টির কারণে মারা যাচ্ছে গাছ
- জাতীয় মহিলা সংস্থা পাবনার ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের চেক বিতরণ
- পাবনায় যাজক হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় ৫ জেএমবি সদস্য গ্রেফতার
- অস্তিত্ব সংকটে পাবনার ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা শিল্পীরা
- সম্ভাব্য নারী প্রতিনিধিদের অপরাজিতার রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ
স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও অবহেলিত শহীদ আশরাফ আলী শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদাটুকু পায়নি
Dec 21, 2013, 9:20:08 PM
বিশেষ প্রতিনিধি : মুক্তিযুদ্ধের ৪৩ বছর অতিবাহিত হলেও জীবন দিয়েও শহীদদের মর্যাদা পায়নি পাবনা জেলাপাড়ার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীর পরিবার। সুত্র মতে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে দেশে যখন পাক বাহিনী ঢুকে হত্যা, অগ্নিসংযোগ শুরু করে তখন পাবনা শহরের জেলাপাড়া মহল্লার আহেদ আলীর ছেলে আশরাফ আলী ও তার ১০/১২ জন বন্ধু মিলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যেই তারা শহরের ফায়ার সার্ভিস এলাকায় পাকবাহিনীদের গাড়ীর উপর অজ্ঞাতস্থান থেকে বোমা নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। দেশে যখন পাকবাহিনীর অত্যাচার চরমে তখন আশরাফ আলী ও তার ১০/১২ জন বন্ধু শহরের জেলাপাড়া মহল্লার বিহাড়ী বাড়ীতে গোপন বৈঠকে বসেন। তাদের গোপন বেঠকের খবর পাক বাহিনীরা জানতে পারে। ১১ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা ভারী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ঐ বাড়ীটি ঘিরে ফেলে এবং সেখান থেকে আশরাফ আলী, তার ভাই আকবর আলী, আফছার আলী, মোশাররফ হোসেন, এডভোকেট শফিউদ্দিন, হারুনর রশিদ, নুরুল হক ও শফিউন্নবী সুর্যকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের শহরের গোপালপুর তেমাথায় সারিবদ্ধ করে ব্রাশ ফায়ার করে ৮জনকেই হত্যা করে এবং লাশগুলো ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা ৮ শহীদের লাশ উদ্ধার করে এক কবরেই সেখানে গনকবর দেন।
সেদিনের শহীদদের একজন আশরাফ আলী। শহীদ এই মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী জালেকা খাতুন(৭৮) জানান, তার ৫ ছেলে ও ৪ মেয়ে নিয়ে স্বামী হারানোর বেদনা বুকে চাপা দিয়ে জীবনযাপন করছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দেশের জন্য একসাথে একই দিনে তার স্বামী আশরাফসহ ৮ জন প্রান দিলেও দেশ স্বাধীনের ৪৩ বছরেও তাদের পরিবার শহীদদের মর্যাদাটুকু পায়নি। কোন দিনই কেউ তাদের সন্তানদের কোন খোঁজ খবর নেয়নি। বয়সের ভারে তিনি খুবই ক্লান্ত। তারপরও জীবনের শেষ ইচ্ছা বলতে তিনি জানান, স্বামীর শহীদের মর্যাদাটুকু দেখা যেতে পারলে শান্তি পেতাম। শহীদ আশরাফ আলীর ছেলে পাবনা কলেজের সহকারী অধ্যাপক কিসমত আলী জানান, দেশের জন্য তার বাবাসহ একদিনে ৮জন পাকবাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন। এজন্য তারা গর্বিত। কিন্তু বাবা যেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদাটুকু পান এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের প্রতি তিনি জোর দাবী জানিয়েছেন।