১৭ আষাঢ় ১৪৩১
 

সর্বশেষ

সরকারি ঘোষণার প্রায় এক বছর পার চাটমোহরের ৫৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২৮ শিক্��

Dec 24, 2013, 1:14:48 PM

সরকারি ঘোষণার প্রায় এক বছর পার চাটমোহরের ৫৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২৮ শিক্��

শফিকুল ইসলাম বাচ্চু ঃ চাকরি জাতীয়করণের এক বছর পরও চাটমোহরের ৫৭ টি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২৮ জন শিক্ষক এ পর্যন্ত সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাননি। রেজিঃ প্রাপ্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে যে বেতন ভাতা তারা পেতেন তাও বন্ধ রয়েছে ৩ মাস যাবত। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এ তিন মাসের বেতন ভাতাদি না পেয়ে অত্যন্ত মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। সন্তান সন্ততি নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে কাটছে তাদের দিন। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে চাকরী জাতীয়করণের ঘোষনা দেওয়ার পর পেরিয়ে গেছে প্রায় ১ বছর। গত বছরের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের রেজিস্টার্ড ও কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (বর্তমান সরকারী) শিক্ষক শিক্ষিকিরা সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সারা দেশে আনন্দ মিছিল করলেও কবে নাগাদ সরকার প্রদত্ত বেতন ভাতা পাবেন নিশ্চিত করে কেউ এখোনো বলতে পারছেন না। উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তি মিলছে না এসকল শিক্ষক শিক্ষিকার। সরকারী হিসাবে বেতন ভাতা না পেয়ে উপরন্ত বেসরকারী হিসাবে যে ভেতন ভাতা তারা পেত তাও ৩ মাস যাবত বন্ধ থাকায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের সন্তান সন্ততির লেখাপড়ার খরচ চালানো এবং পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের ব্যয়ভার মেটাতে নিদারুন অর্থকষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। চাটমোহর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাটমোহরে একটি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ৫৭ টি রেজিঃ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল যা সরকারী করণ করা হয়েছে। এ সকল বিদ্যালয়ে ২২৮ জন শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মরত রয়েছেন। তারা নিয়মিত বেতন ভাতা পেয়ে আসছিল। সরকারী ঘোষণার পর প্রতিটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে বাছাই কমিটি করা হয় সেই কমিটি যাচাই বাছাই শেষে জেলা কমিটিতে প্রতিবেদন পাঠায়। বিদ্যালয়ের নামের তালিকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রাথমিক ও গনশিক্ষমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে কিন্তু দাপ্তরিক কিছু সমস্যা থাকার কারণে এখোনো তারা সরকারী বেতন ভাতা পান নি। গৌড়নগর রেজিঃ (বর্তমান সরকারী) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল¬াহ জানান, সেপ্টেম্বর মাস থেকে বেতনভাতা না পেয়ে শিক্ষক শিক্ষিকারা খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। দোলং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার জানান, বেসরকারী শিক্ষকদের চাকরী জাতীয় করণের প্রাণের দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার ঘোষনা দিলেও তা বাস্তবায়নের ধীর গতির কারনে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মতিউল আহসান জানান, সরকারী হিসাবে বেতন ভাতা না পেলেও যে বেতন টুকু তারা পেতেন তা পেতে দেরি হওয়ায় শিক্ষকরা অর্থ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। তবে তারা বকেয়া বেতন পাবেন। বিষয়টি দ্রুত নিরসনের চেষ্টা করছেন সংশি¬ষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ। 

 
 
 
পাবনা নিউজ২৪.কম
থানাপাড়া (হেলেন কটেজ), পাবনা-৬৬০০
ই-মেইলঃ newsroom@pabnanews24.com