১৭ আষাঢ় ১৪৩১
 

সর্বশেষ

চাটমোহরে ভোটকেন্দ্র গুলো ছিলো একদম ফাঁকা

Jan 5, 2014, 11:38:48 AM

চাটমোহরে ভোটকেন্দ্র গুলো ছিলো একদম ফাঁকা

আব্দুল মান্নান পলাশ : সকাল ১০-৩০ মিনিট। কেন্দ্র চাটমোহরে পৌরসভার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ভোটারের লাইন নেই। মাঝে মাঝে দু’একজন ভোটার (নারী-পুরুষ)কেন্দ্রে ডুকছেন ভোট দিয়ে বের হচ্ছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন বসে আছেন চুপচাপ। কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের ভীড় নেই। এ কেন্দ্রে দু’জন প্রিসাইডিং অফিসার। মহিলা পুরুষ পৃথক। মহিলা কেন্দ্রের উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা ময়েন উদ্দিন আলমগীর জানালেন তার মোট ভোটার সংখ্যা ২০১৬। তখন পযন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৫০ টি। শতকরা ২.৫০% ভাগ। পুরুষ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মিজাপুর ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক  এনামুল হক জানান, তার ভোটার সংখ্যা ১,৯০২ জন। ভোট পড়েছে ১১০ টি। শতকারা হিসাবে ৫.৫০% ভাগ। কথা হয় ভোটার চৌধুরীপাড়া মহল্লার আফরোজা খাতুনের সাথে। বলেন, কেউই ভোট চায় নাই। আমাগারে ভোট দেওয়া দায়ীত্ব, তাই ভোট দিয়ে গেলেম। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এসএম মোজাহারুল হক ভোট দিয়ে রেরুনোর সময় জানালেন, ভোট আমার অধিকার। তাই দিতে এসছি। নতুন ভোটার সিরাজগঞ্জ মেটস্ এ অধ্যায়নরত ছাত্রী আরিফা আজীজ। চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা । এবার প্রথমবার ভোট দিতে এসে তালিকায় নাম না থাকায় ক্ষুব্ধতা জানালেন।

সকাল ১০-৫৫ মিনিটে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সহকর্মী বকুল রহমানের মোটর সাইকেলের পেছনে বসে রওনা হলাম ছাইকোলার দিকে। পথে ৫৯ নং বোয়ালমারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় একই অবস্থা। কেন্দ্রের সামনে জনাকয়েক ভোটারের জটলা। ভোট দিতে আসা বোয়ালমারী গ্রামের বয়েজ উদ্দিন জানালেন, এখন বোরো ধান লাগানের সুময়, তাই ভোটার কম। দুপুরের পরে সবাই আসপিনি। দেখা যায় ইনক্লোজার ফাঁকা। প্রিসাইডং অফিসার চাটমোহর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আবুল কালাম আনসারী জানালেন, এ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮৫৮। নারী ৯২৭, পুরুষ ৯৩১ জন। তখন বেলা ১১-১৭ মিনিট। তিনি জানালেন, ভোট পড়েছে পুরুষ ৪১, নারী ৮ জন। মোট ৪৯ জন। শতকরা ২.০৬% ভাগ।
বেলা ১২-০৫ মিনিট। চাটমোহর থেকে ১৫ কিমি দূরের গুম্নাী নদীর বরদানগর ঘাট পার হলাম। নদীর ওপারে ৫৮ নং বরদানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে হাজির হই। সেই একই দৃশ্য। ইনক্লোজার ফাঁকা। কেন্দ্রের ভেতরে কয়েকজন নারী ভোটার রয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল ইসলাম জানান, এ রকমই চলছে সকাল থেকে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মহেলা দ্বিমূখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী জানান, এখানে মোট ভোটার ২ হাজার ৭১ জন। নারী ১০৭২, পুরুষ ৯৯১ জন। তখন পর্যন্ত ভোট পড়েছে নারী ১০৮, পুরুষ ১৫৮ জন। শতকারা হার ১২.৬৯%। সেখান থেকে হেটে কিলো খানেক হবে। তখন সময় বেলা ১২-৩৫ মিনিটি। নিমাইচড়া ও ছাইকোলা দুই ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের ৬৯ নং বরদানগর আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রসা কেন্দ্র। ভাঙ্গা টিনের ঘরে ভোটকেন্দ্র। দেখা যায়, বেশকিছু নারী ভোটার লাইনে দঁড়িয়ে আছেন, ভোট দেওয়ার জন্য। কথা হয় সালমা জাহান নামের চাটমোহর ডিগ্রী কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সাথে। বলেন, এবারই প্রথম ভোট দিতে আসছি। আনন্দ পাচ্ছিনা। কেন্দ্রে ভোটার নেই। বলেন, কেই ভোট চায়নি ার কাছে। তাহলে এলেন কেন প্রশ্ন করা হলে বলেন, আমার ভোট, আমি দেবো। কেউ চাক বা নাচাক। প্রিসাইডং অফিসার ছাইকোলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক কাজী মান্নাফ জানান, এখানে মোট ভোটার ১ হাজার ৫৪৪ জন। নারী ৭৮১, পুরুষ ৭৫১ জন। তখন পর্যন্ত ভোট পড়েছে নারী ৮৩, পুরুষ ৮৬ জন। যার শতকরা হাড় ১০. ২০%।
বেলা ১-৩০ মিনিট। আবার বরদানগর গুমানী নদীরঘাটে নৌকায় পার হয়ে ভোরের কাগজের প্রতিনিধি বকুল রহমানের সাথে রওনা হই। পথে বড়াল নদীপাড়ের রামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা যোহোর নামাজে থাকায় তথ্য না নিয়ে বেরিয়ে আসি। তবে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ভোটার উপস্থিতি খুব কম। ১-৫৫ মিনিট। চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকি। সকাল ১০-৩০ মিনিটে এখান থেকেই যাত্রা শুরু করেছিলাম। পুরুষ কেন্দ্রর প্রিসাইডং কর্মকর্তা জানান, তখন পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪৩২ জনের। নারী কেন্দ্রের ভোট পড়েছে ২৪৯ জনের। শতকারা হার ২০%। 

 
 
 
পাবনা নিউজ২৪.কম
থানাপাড়া (হেলেন কটেজ), পাবনা-৬৬০০
ই-মেইলঃ newsroom@pabnanews24.com