১৩ আষাঢ় ১৪৩১
 

সর্বশেষ

রমজানে ভাঙ্গুড়ায় চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ

Jul 7, 2014, 12:40:20 PM

রমজানে ভাঙ্গুড়ায় চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ

বার্তা সংস্থা পিপ : চলছে এখন পবিত্র মাস রমজান। আর এ মাসেও চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। থানা পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় ঘটনাটি ঘটছে পাবনার ভাঙ্গুড়ার একটি পাড়ায়। এতে বিপথগামী হচ্ছে যুবসমাজ। সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।
এলাকাবাসীর অভিযোগে সরেজমিনে জানা গেছে, ভাঙ্গুড়া পৌর এলাকার রেললাইন পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে এ অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ স্টেশন থেকে পাড়াটির দুরত্ব ২ কিলোমিটার। পাড়ার এক পাশ দিয়ে চলে গেছে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথ। পাশেই বড়াল ব্রীজ রেলস্টেশন। কথপোকথনে স্থানীয় জানায়, ধীর্ঘদিন ধরে চলছে এ অসামাজিক কার্যকলাপ।  রোজায় দিনে কম হলেও রাতে আনাগোনা বেড়ে যায়। রাতে জড়িতরা ভাঙ্গুড়া বেলী ব্রীজ পর্যন্ত বের হয়ে আসে। প্রকাশ করে অশালীন অঙ্গ-ভঙ্গি। পরিবার-পরিজন নিয়ে ওই পথে চলতে তখন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় এলাকাবাসীকে। এলাকাবাসীর আরো জানায়, রাতে ট্রেনযোগেও জড়িতরা রেলস্টেশনে এসে নামে। বাসযোগে এসে নামে ভাঙ্গুড়া বাসস্ট্যান্ডে। পরে এরা বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। রাতে বাসস্ট্যান্ডে ও রেলস্টেশনে পুলিশ থাকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, থানার এসআই ফজলুল হককে মাঝে-মধ্যেই, প্রায় মাসেই ওই পাড়ায় যাতায়াত করতে দেখা যায়। বেশি সময় দেরী করে না, ঢুকতে আর বের হতে যা সময়। এলাকাবাসীর ভাষ্য- থানার পক্ষে এসআই ফজলুল হক টাকা নিয়ে যায়। তাই একাজে পুলিশ বাঁধা দেয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনার সাথে জড়িত জনৈকা জানায়, পুলিশকে ট্যাকা দেই। ব্যাটারা আমাক বাধা দিবি ক্যা? ট্যাকা না পালিসিন বাধা দিবি। বড়াল ব্রীজ স্টেশন মসজিদের জনৈক মুসল্লী বললেন, আর কইয়েন না ভাই,  সারা বছর তো হয়ই। রমজান মাসেও হচ্ছে। যা হচ্ছে; তা দেখেও পুলিশ দেখছে না। আমরা কি করবো। আমাগারে তো পাওয়ার নাই। থানায় কর্মরত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এমপি স্যারের নাকি আত্মীয় হন ফজলুল হক। এজন্য ওসি স্যারও তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, আর কি বলব ভাই। তিনি (ফজলুল হক) ‘অনেক কিছ’ু নিয়ন্ত্রণ করছেন। শুধু এমপি স্যারের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে জেলা পুলিশও ব্যবস্থা নেয় না। আমরা করলে কবে ট্রান্সফার করে দিতো এমন মন্তব্য করেন ওইসব পুলিশ কর্মকর্তা। এসআই ফজলুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ শোনার পর মন্তব্য না করেই মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। ফলে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ওসি জি.এম মিজান এবিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। এলাকাবাসী এ অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে ও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পাবনা পুলিশ সুপারসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছন।
 

 
 
 
পাবনা নিউজ২৪.কম
থানাপাড়া (হেলেন কটেজ), পাবনা-৬৬০০
ই-মেইলঃ newsroom@pabnanews24.com