১৭ আষাঢ় ১৪৩১
 

সর্বশেষ

ষ্টেশন এলাকায় তৈরি হচ্ছে ভেজাল গুড়

Jul 17, 2014, 12:34:03 PM

ষ্টেশন এলাকায় তৈরি হচ্ছে ভেজাল গুড়

আখের মৌসুম না হলেও এখন ঈশ্বরদীতে তৈরি হচ্ছে ‘আখের গুড়’। ঈশ্বরদী বাইপাস ষ্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এমনই একটি ভেজাল গুড়ের কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। স্থানীয় মতিয়ার রহমান নামের এক ব্যক্তির জমির উপর ওই ভেজাল গুড়ের কারখানা স্থাপন করে দীর্ঘ দিন থেকে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে ঈশ্বরদীর গুড় ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের একটি ভেজাল গুড়ের সিন্ডিকেট। গুড় ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা অনেকটা বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে তার ভেজাল গুড়ের রমরমা ব্যবসা।
স্থানীয়রা জানান, ওই কাখানায় উৎপাদিত ভেজাল গুড় ঈশ্বরদীসহ আশ-পাশের বিভিন্ন আড়ৎ ও বাজারে বিক্রি হয়। আর এই ভেজাল গুড়ে সয়লাব হয়ে গেছে ঈশ্বরদীর বাজার। গুড়ের সরবত ইফতারির অন্যতম উপাদান হওয়ায় গুড় ব্যবসায়ীরা সু-কৌশলে এই সময়টাকে বেছে নিয়ে রমরমা ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ভেজাল গুড়ের ব্যবসা। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন বাইপাস এলাকা ও ঈশ্বরদীর গুড় বাজার এবং আড়ৎ এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাইপাস ষ্টেশন সংলগ্ন ওই ভেজাল গুড়ের কারখানায় দেখা যায়, খোলা আকাশের নিচে শত শত টিন লালি গুড়, চিনি ও আটার বস্তার স্তুপ। মাছি ও টিকটিকির সমাবেশ। এক কথায় চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঈশ্বরদীতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে গুড় ভেজালকারী চক্রের দৌরাত্ম। ধারাবাহিক ভাবে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় ঈশ্বরদীর একটি চক্র ভেজাল গুড় বাজারজাত করে আসছে অনেকটা বাধাহীন ভাবেই। পহেলা রমযান থেকেই ঈশ্বরদী বাজারে ভেজাল গুড়ের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক গুড় ব্যবসায়ী জানান, ঈশ্বরদী ও পাশ্ববর্তী লালপুর উপজেলার নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ভেজাল গুড় প্রস্তুতের কারখানা রয়েছে। এ সকল কারখানায় গো-খাদ্য চিটা গুড়ের সাথে ভুট্রার ময়দা, দেহের জন্য ক্ষতিকর হাইড্রোজ, চটকদার রং ও মোটা চিনি মিশিয়ে ভেজাল গুড় প্রস্তুত করা হচ্ছে। এসব স্থান থেকে উৎপাদিত ভেজাল গুড় ঈশ্বরদী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। তাছাড়া এখন আখের মৌসুম না হলেও পর্যাপ্ত পরিমান আখের গুড় কোথা থেকে আসছে তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগীরা ভেজাল গুড়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার জন্য সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভেজাল গুড়ের ক্ষতির বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম শামিম বার্তা সংস্থা পিপ‘কে বলেন, ভেজাল গুড় মানব দেহের জন্য মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ। ভেজাল গুড় খেলে পেটের পিড়াসহ কিডনি ও লিভারে মারাত্বক ক্ষতি সাধন করে।
এবিষয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিমান কুমার দাস বলেন, ভেজাল গুড়ের কারখানার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, তবে ভোজাল গুড়ের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্রীঘ্রই অভিযান চালানো হবে বলেও জানান তিনি।  

 

 
 
 
পাবনা নিউজ২৪.কম
থানাপাড়া (হেলেন কটেজ), পাবনা-৬৬০০
ই-মেইলঃ newsroom@pabnanews24.com